স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকা-বরিশাল পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিন থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিচয় জানা যায়নি।
লঞ্চের স্টাফ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ কক্ষের যাত্রী ছিলেন ওই নারী। এর পূর্বে সিঙ্গেল কক্ষটি জনৈক কামরুল নামের এক ব্যক্তি বুকিং দেন। যার মোবাইল নং ০১৭১১০২৫০৯২। সোমবার সকালে বরিশাল নৌ-বন্দর পল্টুনে লঞ্চটি নোঙ্গর করা হলে লঞ্চের স্টাফরা ওই কেবিনের দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দিলে কেবিন থেকে অজ্ঞাতনামা লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লঞ্চের তৃতীয় তলায় দায়িত্বরত কেবিন বয় বায়জিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে এগারটা পর্যন্ত কক্ষটিতে কাউকেই তারা আসতে দেখেননি। সকালে বরিশাল ঘাটে লঞ্চটি নোঙ্গর করা হলে সকল কেবিন ও ডেকের যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর পুনরায় কেবিনে কোনো যাত্রী অবস্থান করছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ৩৯১ কক্ষের যাত্রীর কোনো প্রকার সাড়াশব্দ না পেয়ে কেবিন বয় বায়জিদ লঞ্চ সুপারভাইজার নজরুলকে অবহিত করেন।
পরে বিষয়টি নৌ-বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে নৌ-বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ নৌ পুলিশের সদস্যরা এসে দরজা খুলে লাশটি দেখতে পান। খবরপেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আল-মামুন ইসলাম জানান, লাশের গলায় কালো দাগের একটি চিহ্ন তারা দেখতে পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যৌন সম্পর্কের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার এসি রাসেল জানান, ধারনা করা হচ্ছে মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর লাশের ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এঘটনায় বরিশাল নৌ-বন্দর থানা পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন নৌ-বন্দর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।